কবিয়াল : ভাষা আন্দোলন ও শাহবাগ আন্দোলন : বিশেষ সংখ্যা

     তসলিমা নাসরিন
     আমার মায়ের আমার বোনের কষ্টে রাঙানো একুশে
     ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি...

অমিতাভ ভট্টাচার্য
একুশে ফেব্রুয়ারি ও ধেনোর ঘোরের প্রলাপ

সৈয়দ কওসর জামাল
হায় বাংলাভাষা!


একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর শুধু ভাষাশহিদ দিবস নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও উদযাপিত হচ্ছে। এ বড়ো কম গৌরবের কথা নয়। এই বঙ্গের বাঙালির পক্ষে এই গৌরব অর্জন করা কিছুতেই সম্ভব হত না যদি বাংলাভাষা একটি রাষ্ট্রের ভাষা না হত। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের কথা ও মাতৃভাষার গৌরবের কথা। এই স্মরণ আরো জরুরি এই কারণে যে আমাদের ভাষার গায়ে এখন পেরেকবিদ্ধ করার যন্ত্রণা, তার শরীর জুড়ে অসংখ্য ক্ষত।

বলা হয়ে থাকে, ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে একটি জাতির সম্পূর্ণ সত্তাটি প্রতিফলিত হয়। ঠিক কথা। বাংলা ভাষা অত্যন্ত সফলভাবে বাঙালি জাতিসত্তার আদর্শ, চিন্তা ও ভাবনাকে প্রকাশ করেছে। তবে যে বাঙালি জাতিসত্তার গর্ব আমরা করি, তা কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো জনগোষ্ঠীর নয়। জনপদের বিচ্ছিন্নতা, দূরত্ব ও বৈচিত্রের জন্য জনগোষ্ঠীর ভাষাও পৃথক হয়েছে। এই কারণে বাংলায় এত উপভাষা। তা সত্ত্বেও মুদ্রনশিল্প চালু হওয়ার সুবাদে উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে যায় যে বাঙালির মুখের ভাষা যতই ভেদে আলাদা হোক, লিখিত গদ্যের একটাই রূপ হবে। অর্থাৎ, লিখিত গদ্যের একটা মান্যরূপ বাঙালি গ্রহণ করেছে আর সেই মান্যরূপ নির্মাণে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভাষা নানা ঐতিহাসিক কারণে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করলেও সে রূপ তখন আর কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের নয়। নানা গোষ্ঠী ধর্ম উপভাষাকে ছাপিয়ে বাঙালির এক ঐক্যভাব তৈরি করেছে এই লিখিত গদ্যভাষা। আমাদের সাহিত্যকারেরা মুখের ভাষার বিভিন্নতা সত্ত্বেও এই নির্দিষ্ট ভাষারীতিকে অবলম্বন করেছেন। এর ফলে মান্য লিখিত বাংলা আরো পুষ্টি পেয়েছে। মুখে যে উপভাষাতেই কথা বলি না কেন, লিখতে গেলেই আমরা এই মান্য বাংলাতেই লিখি। মান্য বাংলায় যদি কলকাতাকেন্দ্রিক কথ্যভাষার প্রাধান্য ধরা পড়ে, তবে পূর্ববঙ্গীয় কথ্যভাষার অপারগতা ধরা পড়ে না। কী করে একটি উপভাষা অন্য উপভাষাগুলোকে পেরিয়ে ‘মান্য’ হয়েওঠে, তার কারণ সবসময় ভাষাগত নয়।

বাংলাভাষার শরীরে যে ক্ষত-র কথা বলেছি, তার একটি কারণ হল আমাদের লিখিত মান্য বাংলায় বিভিন্ন উপভাষার পারম্পর্যহীন শব্দব্যবহার। এতে কথ্যভাষার শব্দ মর্যাদা পেলে মান্য বাংলাভাষার অবনমন ঘটছে ।

ইংরেজি জানার কারণে একসময় কিছু বাঙালি মাতৃভাষাকে হেয় জ্ঞান করতে শুরু করেন, আর তা এখনও চলছে। তবে এখন যত না মাতৃভাষাকে হেয়জ্ঞান, তার চেয়ে বেশি বাস্তববুদ্ধির প্রয়োগ। কিন্তু কর্মজগতের সুবিধে নিতে গিয়ে সাধারণ গড়পরতা বাঙালি ইংরেজি বাদ দিয়ে একটি বাক্যও বলতে পারবে না, এ মেনে নিতে কষ্ট হয়। লেখা তো আরো দূরের কথা।  

শুধু ইংরেজি নয়, ব্যবহারিক কারণে বাঙালিকে হিন্দিও জানতে হয়। এর ফলে দেখা যাচ্ছে, তাদের বাংলায় হিন্দি শব্দের অনুপ্রবেশ শুধু নয়, হিন্দি বাক্যবন্ধের স্পষ্ট প্রভাব। এ সমস্যা অবশ্য ওদিকের বাঙালির ততটা নয় বলে মনে হয়।

এমন সব কারণে বাংলাভাষার শুদ্ধতা আজ অবনমন ও অনিবার্য ধ্বংসের মুখোমুখি। শুধু সাহিত্যচর্চার মধ্য দিয়ে এই অবনমন ঠেকানো যাবে না, কেননা বাঙালি সাহিত্য  পড়ছে না বলে ভাষাপরিচয়েরও সুযোগ থাকছে না। জ্ঞানবিজ্ঞানের অন্যক্ষেত্রে আবার বাংলার ব্যবহার এমন নয় যে বাঙালি সেখান থেকে বাংলাভাষাকে জানবে। অতএব সম্মুখে অন্ধকার ও অতল গহ্বর। ভাবনার জগৎ শূন্যগর্ভ ও মাতৃভাষাপ্রীতি অদৃশ্য হলে শত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনেও ভাষার মর্যাদা ফেরে না।

যশোধরা রায়চৌধুরী   

স্বপ্ন দেখার বাংলাভাষা

অশোক দেব

শাহবাগ ও স্বার্থপরের শঙ্খসংগীত


স্কুলবয়সে ভিয়েতনাম শুনতাম। ‘তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম’। শিহরণ হত। অসম এক যুদ্ধে একটি দেশের সাধারণ মানুষগুলির দৃপ্ত প্রতিরোধের খবর পড়ে মন টান টান হয়ে উঠত। আর সেই শ্লোগান শুনে শুনে এটা বোঝা গিয়েছিল, দূর বিদেশ থেকেও বিপন্ন, রণক্লিষ্ট মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। আজ আবার এক নতুন পাশে দাঁড়ানোর দাবি এসেছে। বাইরে থেকে নয়, অন্তর থেকেই এসেছে। শাহবাগের পাশে দাঁড়ানো। যদিও প্রসঙ্গ ভিন্ন, ভিন্ন সময়। গুরুত্বও ভিন্ন।

প্রথমে কিছু জিজ্ঞাসা জাগে। শাহবাগের পাশে দাঁড়ানো বলতে ঠিক কী বোঝা যায়? প্রাথমিকভাবে যে দাবি শাহবাগ থেকে উত্থিত হয়েছিল, ফাঁসি, শাহবাগের পাশে দাঁড়ানোর অর্থ কি সেই দাবিটির পাশে দাঁড়ানো? কিন্তু কোনও অপরাধীর ফাঁসি কি কাম্য? এ করে কি অপরাধীর কৃতকর্মের ভবিষ্যৎ পুনরাবৃত্তি রদ করা যাবে? ইতিহাস এ প্রশ্নের নেতিবাচক উত্তর রাখে। আফজল গুরুর ফাঁসি দিয়েও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনা রোখা যায়নি। পরে শাহবাগ থেকে একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। শাহবাগের পাশে দাঁড়ানোর অর্থ কি এই নিষিদ্ধকরণের রাষ্ট্রীয় দমনমূলক উপকরণটিকে বৈধতা দান? নিষিদ্ধ করে একটি রাজনৈতিক স্বরকে দাবিয়ে রাখা যায়। নিশ্চিহ্ন করা যায় না। সে স্বর ভ্রান্ত হলেও তাকে মোকাবেলা করার কাজটি করতে হবে নীতিগতভাবে, মাঠে-মননে। রাজনৈতিক অনুশীলনে। সেটা না করে নিষিদ্ধ করার শর্টকাট নিলে ফল কী? সেটা ভারতের নকশাল আন্দোলনের সহিংস বর্তমান দেখে অনুমান করা যায়।

তাহলে শাহবাগে আমাদের জন্য রইল কী? অনেক কিছু। শাহবাগ আবার দেখাল দেশাত্মবোধ কিছু মানুষের অভিজ্ঞতাবাদী অতীতচারিতা নয়। আজকের তরুণ যখন জাগে, হৃদয়বিস্ফারিত জাগা জাগে। ধর্মনিরপেক্ষতাও কি আর তেমন সফল? সেটাও ভারতের দিকে তাকালে বোঝা যায়। তাহলে রাষ্ট্রকে কী হওয়া উচিৎ? আমার মনে হয়, রাষ্ট্রকে হতে হবে ধর্মহীন। শাহবাগ ক্ষীণ হলেও এমন একটা ইঙ্গিত দিয়েছে। আগে, যখন গোষ্ঠী এবং তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ভূমিটিকেই দেশ বলে মানা হত, তখন গোষ্ঠীর আচরণীয় ধর্মই দেশের ধর্ম থেকেছে। কবে যে তলে তলে ছোটসাম্রাজ্যবাদ ক্যান্সার হয়েছে, আমরা তার দিনক্ষণ জানি না। ফলে দেশ হয়েছে শক্তিশালীর কুক্ষিগত। অথচ দেশ একটি একবাচক বিষয়ের মধ্যে বহুত্ববাচক অস্তিত্বের আত্তীকরণের নাম হবার কথা ছিল। শাহবাগ সেই আত্তীকরণের ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রাসঙ্গিক করেছে বলে, তার কাছে অনেক কিছু আছে আমাদের জন্য। আর আছে সৃষ্টিশীলতা। বস্তাপচা আন্দোলনের যে প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেখতে দেখতে তরুণরা যেকোনও আন্দোলনের প্রতিই বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল, শাহবাগ তাকে পাল্টে দিয়েছে। শাহবাগ আগামীর আন্দোলনের মাত্রা নির্ণয় করেছে। হয়তো এ-পথে ভবিষ্যৎ অনেক অসাধ্য সাধন করবে। প্রাথমিকভাবে শাহবাগ মানুষকে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে তুলে দেশপ্রেম আর মানবিক দায়বদ্ধতার উঠোনে এনে দাঁড় করিয়েছিল। তাই শাহবাগকে কুর্নিশ জানাতে আমরাও পরিকর আবদ্ধ করেছিলাম। এখনও অবস্থান ছাড়িনি।

কিন্তু কোথাও কি শাহবাগ থেকে একটু একটু হতাশা চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেনি? জামাত যেভাবে সহিংস রাজনীতি শুরু করেছে, তাকে মোকাবেলা করার জন্য শাহবাগের নিজস্ব প্রতিরোধ কই? শাহবাগের যে চরিত্র, তাতে এরকম কোনও প্রতিরোধের আয়োজন করা কঠিন, প্রায় অসম্ভব। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি নেপোর ভূমিকায় দধির সন্ধানে হাজির। জামাত এবং এদের দোসরগণ এমনকি দাম্পত্যকলহের সমাধান খোঁজে সংখ্যালঘু নিধনে। এখানেও তা-ই হল। আবার সংখ্যালঘু মানেই ভোটব্যাঙ্ক। সরকারি দল এদের ভোট চায়, অন্যরা ফোকটে এদের জমি চায়। জামাত বা ইত্যকার সহিংসতা যত সংখ্যালঘুদের ক্ষতি করবে, তত এরা সরকারি দলের দিকে ঝুঁকবে। তাই এদের নিরাপত্তা দিতেও সরকার গায়ে ঢিল। আবার একটু একটু করে সহনশীল ধার্মিকও যখন শাহবাগ নিয়ে সন্দিহান তখন বরং শাহবাগীরা নরম হয়ে যাচ্ছেন। ফলে সেই প্রশ্ন আবার আসে, তথাকথিত নেট-নির্ভর আন্দোলন কি তবে পরিণামহীন?

সে যাই হোক, আমরা বিদেশ থেকে কী দেখি? যে অতীতের কথা হচ্ছে, তাকে একটু নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করলে আমাদের কিছু কথা মানতে হবে। বিরাট গণসমর্থন নিয়ে মুজিব নিজেদের জন্য একটি দেশের ডাক দিলেন। সেটা করতে হবে তৎকালীন দেশ পাকিস্তানকে টুকরো করে। গণচরিত্রের ধর্ম মেনেই সে ডাকের কিছু বিরোধীও থাকার কথা। তারা তাদের ‘দেশ’ পাকিস্তানের অখণ্ডতার প্রশ্নে বাংলা গঠনের বিরোধিতা করেছেন। তাদের সেটা করার গণতান্ত্রিক অধিকারও ছিল। সমস্যা হল, তখন তো দু দলের কাছেই অস্ত্র ছিল। কেউ মেরেছে শাসকের সেনাকে। সেটা স্বাধীনত যুদ্ধের শর্ত। অন্যদিকে কেউ মেরেছে আপন মানুষকে। সেটা অপরাধ। মুজিব দেশপ্রাপ্তির পর তাদের ক্ষমা করেন। তারা তখন ধর্মে আশ্রয় নেয়। সেটাকে কম বিপজ্জনক ভাবা ভুল হয়েছিল। পরে অপর একটি দল তাদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেওয়া শুরু করলে বাংলাদেশে কোনও শাহবাগ ঘটেনি। সেটা আরো বৃহত্তর ভ্রান্তি। এখন, এদের বিচার করার কথা একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব হিসেবে একটি দল সামনে আনে। নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোটে জেতে। ব্যবস্থাকে প্রলম্বিত করে বিচারের রায় ঘোষণার দিন ভোটের অব্যবহিত আগে নিয়ে আসে। ন্যূনশাস্তি ঘোষিত হয়। শাহবাগ জাগে। এই শৃঙ্খলটির শাহবাগ কড়াটি স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক নয়। না হলেও সে সন্দেহের শিকার হবে সন্দেহ নেই। হলও। এমন সময়ে ভারতের আগ বাড়িয়ে কথা বলা কূটনৈতিকভাবে ভুল হবে। ভারত বলছেও না। বলছে বাংলা এবং ভারতীয় বাঙালি। সবই বেসরকারিভাবে।

কিন্তু প্রতিবেশ? আমাদের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিবেশীর।নিজের ঘর বাঁচাতে হলে দাহ্য প্রতিবেশীকে গৃহসংস্কারে সহযোগ করা শ্রেয়। শাহবাগ যাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, তারা প্রাক্তন ক্ষমতাশরিক। তাদের আমলে আমাদের রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি অবাধে বাংলার মাটিতে বেড়েছে, প্রশ্রয় পেয়েছে। তাদের আমলে সীমান্তশান্তি থেকেছে টানা বিপদের মুখে। সীমান্ত সংলগ্ন ধর্মপীঠ থেকে আমার রাজ্যের একটি বিশেষ ধর্মের লোকেদের হিংস্র উস্কানি শোনানো হত মাইকে। অন্ধ ভারত-বিরোধিতার একমাত্র এজেন্ডাই এদের বিদেশনীতি ছিল। অন্তত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তো বটেই। এখনও তারা ভারত-বাংলা উভয়ের স্বার্থসমন্বিত যেকোনও চুক্তিকে ভারতের কাছে নতিস্বীকার হিসেবে দেখে। মুশকিল হচ্ছে, বাংলাদেশকে কিছু দেবার হলে দেবার মালিক ভারত। আর বাংলাদেশ যদি ভারতকে কিছু দেয় সেটার সিংহভাগ উপকার আসবে আমাদের অঞ্চলে। অথচ এই অঞ্চলের প্রতি ভারতের শাসকদের ধারাবাহিক উদাসীনতা বহুবিদিত। আমরা তাই করাতে কর্তনশীল শঙ্খ। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ঐতিহাসিক কারণেই ভারতের উচিৎ ছিল একে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া, নির্মাণে শর্তহীন সহযোগিতা করা। সেটা ভারত করেনি। ভারতের অবশ্য ক্ষমতাও ছিল না। কিন্তু নীতিগত সহযোগ, কূটনৈতিকভাবে বিশেষ মর্যাদাও ভারত আপন দাদাগিরি ভুলে নবীন দেশটিকে দিতে পারেনি। আজকে তাই শাহবাগের পাশে দাঁড়ালে বরং শাহবাগীদেরই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। কারণ বিরোধীরা তখন তাদের ভারতপন্থী হিসেবে বর্ণনা করছেন। পুরো আন্দোলনটির পেছনে ভারতের ইন্ধন দেখাচ্ছেন।

এদিকে ধর্মের অপব্যবহার করে বিরোধীরা আজও ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় সভায় সরাসরি ভারতকে আক্রমণ করা হচ্ছে। ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে একটি রাজনৈতিক টুল হিসেবে। কিন্তু এ অঞ্চলের সার্বিক বিকাশে আত্মীয়তার যে গভীরতা দরকার সেটা পরীক্ষিত সত্য। সুতরাং ভারতীয় হিসেবে, বাংলা সংলগ্ন বাঙালি হিসেবে কিছুটা আপন প্রয়োজনেই আমি শাহবাগের পক্ষে। অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা গুজরাতের অধিবাসীদের কাছে তো শাহবাগ কেবল একটি খবর। বৃহৎ ভারতের অধিকাংশের কাছেই সেটা জাস্ট এনাদার নিউজ। আমার কাছে সেটা গভীর অনুধ্যানের বিষয়। কারণ আমাদের এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ রাজনীতির অনেক কিছু বাংলাদেশের ভবিষ্যতের উপর অপ্রত্যক্ষভাবে হলেও নির্ভরশীল।

Make a Free Website with Yola.